বাংলা বানানের নিয়ম
Written by Rysertio বাংলা বানানের নিয়ম মূলত 2 ভাগে বিভক্ত।
- তৎসম শব্দের বানানের নিয়ম
- অতৎসম শব্দের বানানের নিয়ম
তৎসম শব্দের বানানের নিয়ম
- যেসব শব্দে ই,ঈ বা উ,ঊ উভয়ই শুদ্ধ সেসব শব্দে কেবলমাত্র ই বা উ ব্যাবহার করা হবে।
- রেফ এর ব্যাঞ্জনবর্নের দ্বিত্ব হবেনা।
- শব্দের শেষে বিসর্গ থাকবেনা।
- সংস্কৃত বানান অপরিবর্তিত থাকবে (চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, ভবন)
- সন্ধিতে ক,খ,গ,ঘ পরে থাকলে অন্তঃস্থিত ম প্রাণে (ং) হয়। (অহম্ + কার = অহংকার)
ণত্ব বিধান
- র, ঋ, ষ এর পর
- যুক্তাক্ষরে ট বর্গীয় বর্নের আগে
- প্র, পরি, নির উপসর্গের পর
- নার, পার, বার, রবীন্দ্র, চন্দ্র ইত্যাদি শব্দের পর অয়ন/আয়ন থাকলে তার ‘ন’ টি ‘ণ’ তে পরিণত হয়।
- র, ঋ, রেফ, ঋ কার, র ফলা এর পর ক বর্গ, প বর্গ, য,য়,হ,ং থাকলে।
ষত্ব বিধান (less important)
- র, ঋ বা ঋ কারের এর পর
- ট, ঠ এর আগে
- অ,আ ভিন্ন স্বরধ্বনি / ক, র এর পর স থাকলে টা ষ হবে।
- সন্ধিতে ক,খ,প,ফ এর আগে ইঃ, উঃ থাকলে সন্ধিতে বিসর্গের স্থানে ষ বসবে।
- ই-কারন্ত অ উ-কারন্ত কিছু উপসর্গের পর কতগুলো ধাতুতে ষ হয়।
অতৎসম শব্দের বানানের নিয়ম
- কেবলমাত্র ই বা উ ব্যাবহার করা হবে।
- শব্দের শেষে বিসর্গ থাকবেনা।
- যথাসম্ভব হসন্ত বর্জন করতে হবে।
- ষ ব্যাবহার করা যাবেনা।
- বিশেষণ পদ সাধারণভাবে পরবর্তী পদের সাথে যুক্ত হবেনা।